বিদেশিদের উসকে দেওয়া ব্যক্তিরা বাংলার নতুন মির জাফর: হুইপ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ভানুরকান্দা গ্রামের সড়ক নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেছেন, ‘১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে আঁতাত করে বাঙালির পরাজয়ের খলনায়ক ছিল মির জাফর আলী খান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার-আল বদর বাহিনীর সদস্য ছিল এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার। আর এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন করে বিদেশিদের উসকে দিচ্ছে বাংলাদেশের কিছু জনবিচ্ছিন্ন নাগরিক এবং বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল। দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের উসকে দেওয়া ব্যক্তিরা বাংলার নতুন মির জাফর। এরা ক্ষমতালিপ্সু, গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রু।’

আজ রোববার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ভানুরকান্দা এলাকায় একটি সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন নিজ নির্বাচনী এলাকা কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ, পাঁচটি গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং পৃথক আটটি দোয়া মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি।

হুইপ আরও বলেন, ‘৭৫-পরবর্তী সামরিক শাসকেরা দেশের সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, সশস্ত্র বাহিনীর নিজস্ব আইন ও বিধি অমান্য করে দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন। ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ সংগ্রাম করে দেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েও নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি লোকদেখানো নির্বাচন করে বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে।’

আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, ‘জনগণ রায় না দিলে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ অতিরিক্ত এক মিনিটও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে না। কিন্তু পৃথিবীর কোনো পরাক্রমশালীর রক্তচক্ষুর কাছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হতে পারে না। ধমক দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার শক্তি কারও নেই। কেবল একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনে যদি জনগণ আস্থা প্রত্যাহার করে নেন, তবেই আমরা বিরোধী দলের আসনে বসব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করে কোনো অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের ক্ষমতায় বসানোর যেকোনো অপচেষ্টা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। এসব ষড়যন্ত্র কেউ করলে অবশ্যই সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে সেসব ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

পৃথক অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুল মজিদ মোল্লা, তিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান, মোস্তাকিম মণ্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আকন্দ, আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, ক্ষেতলাল উপজেলার সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান, কালাই উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান প্রমুখ।