ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারে গাড়িচাপায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির এক ভিডিও এডিটর নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে সাভার থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া দীপ্ত টিভির ভিডিও এডিটরের নাম শাহ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান রতন (৫০)। তিনি সাভারের তালবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন।
কামরুজ্জামান রতনের সহকর্মীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সাভারের তালবাগের বাসা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন কামরুজ্জামান রতন। তিনি সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে যান। এ সময় পেছনে থাকা একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি। খবর পেয়ে সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে সাভার হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।
কামরুজ্জামানের সহকর্মী দীপ্ত টিভির সাভার প্রতিনিধি আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামরুজ্জামান ভাই আমাদের হেড অফিসে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সাভারের তালবাগ এলাকার বাসা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যেতেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে ব্যাংক টাউন এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘সহকর্মীর অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। মহাসড়কে শৃঙ্খলা না থাকায় প্রিয় সহকর্মীকে হারালাম।’
দীপ্ত টিভির স্টাফ রিপোর্টার সাদিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামরুজ্জামান রতন ভাই সহকর্মী হিসেবে অসাধারণ একজন ব্যক্তি ছিলেন। আমাকে বোনের মতো স্নেহ করতেন। কেউ বিপদে পড়লে তিনি সবার আগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন।’
তবে ট্রাকের চাপায় কামরুজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত নন বলে জানান সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবুল হাসান। এই বিষয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণটি এখনো স্পষ্ট নয়। নিহত ব্যক্তির মোটরসাইকেলের ডান পাশে সামান্য ঘষার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর হেলমেটটির ডান দিকের অংশ ভেঙে গেছে। তাঁর মাথা থেকে রক্ত বের হলেও থেঁতলে যায়নি। এ ছাড়া এ ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি।
ওসি শেখ আবুল হাসান আরও বলেন, তদন্তের পর দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে কামরুজ্জামান রতনের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।