৭ ঘণ্টা পর ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি চালু

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসিয়েশন ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়। মঙ্গলবার দুই দেশের শূন্যরেখায়
ছবি: প্রথম আলো

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকদের মারধরের জেরে বন্ধ থাকা আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম সাত ঘণ্টা পর আবার চালু হয়েছে।

ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা শূন্যরেখায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দুই পক্ষের নেতাদের বৈঠকের পর আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে ভালো সড়ক দিয়ে চলাচল করা নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় পরিবহনশ্রমিক সাদাম হোসেনের নেতৃত্বে ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাসিদের মারপিট করা হয়।

এ সময় কয়েকটি ট্রাক ভাঙচুর এবং সাতজন ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাসিকে আহত করা হয়। এ ঘটনায় আজ সকাল ১০টা থেকে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, মারধরের অভিযোগে আজ সকালে ওপার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা দুইটার দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে শূন্যরেখায় বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিকেল চারটায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।

এদিকে এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে চারটায় ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পে দুই দেশের নেতাদের একটি সভা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান, ভোমরা বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার ওহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ভারতের পক্ষে ছিলেন বারাসাত জেলা পুলিশের উপমহাপরিদর্শক নরেন্দ্র সিং, ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার জায় সিং, ঘোজাডাঙ্গা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ভোলা ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ভবিষ্যতে যেন বন্দরে অহেতুক আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ না হয়, সে জন্য ভারতীয় পুলিশ, বিএসএফ, বিজিবির সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের বিকেল সাড়ে চারটায় একটি সভা হয়েছে। ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সভায় ভারতীয়দের পক্ষ থেকে ভোমরা বন্দর এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া ছোটখাটো বিষয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ না করে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে সবাই একমত পোষণ করেন।