নাজিরপুরে দফায় দফায় আ.লীগ–বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে গেছে। সংঘর্ষের সময় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সমাবেশ শেষে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানকে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করা হয়

দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লোডশেডিং, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগত ও গুলিতে দলীয় তিন নেতা–কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি। দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে আসার পথে উপজেলার সাতকাছিমা, কালীবাড়ি মোড়, কলেজ মোড় ও হাসপাতালের সামনের সড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর বিকেল চারটার দিকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এবং সমাবেশ শেষে সাড়ে পাঁচটার দিকে থানার সামনের সড়কে দুই দফা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, সভা শেষে তিনি গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পিছন থেকে ৪০–৫০ জন এসে তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। এর মধ্যে কেউ তাঁর মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়।

যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম। বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের লোকজন বেশি আহত হয়েছে।’

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, সমাবেশে আসার পথে কয়েকটি স্থানে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও সমাবেশ শেষে দুই দফা হামলা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। তাঁদের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তবে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন।