রাজশাহী মহানগরের দামকুড়া থানার এক পুলিশ কনস্টেবল গোদাগাড়ী উপজেলায় এক তরুণকে তল্লাশির নামে ‘ছিনতাই’ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কনস্টেবলসহ তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবল আবু হেনা মোস্তফা কামাল (৩১) রাজশাহী মহানগর পুলিশের দামকুড়া থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর গ্রামে। তাঁর সহযোগীর নাম মো. রাব্বী (২৭)। রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া আপেল ডেকোরেটর মোড়ে তাঁর বাড়ি।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাপাল এলাকায় বুলবুল আহম্মেদ (২৪) নামের এক তরুণকে তল্লাশি করছিলেন আবু হেনা ও রাব্বী। এ সময় তাঁরা বুলবুলের মুঠোফোন কেড়ে নিচ্ছিলেন। বুলবুল পরিচয় জানতে চাইলে আবু হেনা জানান, তিনি র্যাবের লোক। এ সময় বুলবুল পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে আবু হেনা ও রাব্বী তাঁকে মারধর শুরু করেন।
ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী বুলবুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দুজনকে আটক করেন। এরপর র্যাব-৫ এবং গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সেখানে গেলে আবু হেনা মোস্তফা কামাল নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেন। পরে র্যাবের একটি দল দুজনকে আটক করে র্যাব-৫–এর সদর দপ্তরে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব আটক দুজনকে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করে।
ওসি জানান, ভুক্তভোগী বুলবুল আহমেদ আজ দুপুরে বাদী হয়ে এই দুজনের বিরুদ্ধে ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিদের ইতিমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো খবর পাইনি। খবর পেলে এবং ঘটনা সত্য হলে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটা জানাতে পারব।’