মেহেরপুরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ চালু হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিটিসিএল কার্যালয়ে এই ইন্টারনেট প্যাকেজের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘আমাদের যে আয়ের খাত নতুনভাবে তৈরি করার দরকার ছিল, সেটি করা হয়নি। কিন্তু ব্যয়ের খাতও সেভাবে কমাতে পারিনি। যার ফলে বিটিসিএল ১৫০-২০০ কোটি টাকা লোকসান দেয়।
বিটিসিএলকে লাভজনক করতে কয়েকটি কৌশল নেওয়া হয়েছে। “জীবন” প্যাকেজের মাধ্যমে ৬৪টি জেলায় অল্প খরচে চার লাখ উচ্চগতির ইন্টারনেট–সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিটিসিএল অল্প সময়ের মধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।’
জুনাইদ আহ্মেদ আরও বলেন, ‘মেহেরপুরে ৩০০ সংযোগের উদ্বোধন করলাম। এর সঙ্গে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে এই সংযোগ দেওয়া হবে। মাত্র ৩০০ টাকায় ৬ এমবিপিএস, ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস, ১ হাজার টাকায় ২০ এমবিপিএস—এ রকম আকর্ষণীয় সুবিধা দিতে যাচ্ছি। “জীবন” প্যাকেজ হবে বিটিসিএলের লাইফলাইন। এরপরও বিটিসিএল লাভের মুখ না দেখলে ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সেবা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টেলিটকের ৪৮ লাখ গ্রাহকের যে সিম সচল আছে, তাঁদের সমস্যা দূর করার জন্য জাদুকরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলালিংকের সঙ্গে অ্যাকটিভ নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে উচ্চগতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক পাচ্ছি। সেখানে ইন্টারনেট ভালো পাচ্ছি, ভয়েজ কলও ভালো হচ্ছে। টেলিটকের নেটওয়ার্ক না থাকলেও আমরা সব ধরনের সুবিধা এখান থেকে পাচ্ছি। আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই পাইলটিং প্রোগ্রাম শেষ হবে। পরে এই ব্যবস্থা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রথমে বাংলালিংক এবং পরে জিপি ও রবির সঙ্গে টেলিটকের শেয়ারিং নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।’
পরে মেহেরপুর ডাকঘরের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন জুনাইদ আহ্মেদ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল, ডাক বিভাগের খুলনা সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল সামসুল আলম, বিটিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক নারায়ণ চন্দ্র ঘরামী, জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক প্রমুখ।