পঞ্চগড়ে কাঁচা চা–পাতার ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা ক্ষুদ্র চা–চাষি নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক চা– চাষি। মানববন্ধন শেষে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ক্ষুদ্র চা–চাষি নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ও সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেন, জেলা কাঁচা চা–পাতা মূল্য নির্ধারণ কমিটি প্রতি কেজি কাঁচা চা–পাতার মূল্য ১৮ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে ওই দামে না কিনে চা কারখানা ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন চাষিদের প্রতারিত করছে। কারখানা মালিকেরা চাষিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি কাঁচা চা–পাতা ১৩ টাকা থেকে ১৫ টাকা দরে কিনছেন। এতে তাঁরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারখানা মালিকদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের চাশিল্প। অবিলম্বে চায়ের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা না হলে ১৯ জুলাইয়ের পর অনশনসহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ক্ষুদ্র চা–চাষি নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক, চা–চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সায়েদ আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও জেলা কাঁচা চা–পাতা মূল্য নির্ধারণ কমিটির সভাপতি মো. জহুরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, জেলার চা–চাষিদের উৎপাদিত কাঁচা চা–পাতার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে মূল্য নির্ধারণের পর, সেটি তদারকির জন্য একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি নিয়মিত কারখানাগুলো তদারক করছে। গত রোববারও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে পাতা কেনার অভিযোগে দুটি কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় কারখানা দুটির কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করাসহ সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সব সময়ই চায় চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত চা পাতার ন্যায্যমূল্য পাক। চাষিরা বঞ্চিত হলে প্রয়োজনে সবাইকে নিয়ে আবারও আলোচনায় বসা হবে।