দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিআরটিসি বাসের চাপায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চারজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের রানীরবন্দর বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজন হলেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি বটতলী এলাকার খোচামুদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক আবদুল মজিদ (৫০) ও একই উপজেলার গোয়ালডিহি প্ল্যানবাজার এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম (৪৫), কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হটিখোলা এলাকার নত্তা ইয়াং চাকমা (৫২) ও একই এলাকার সাইওঙ্গো চাকমা (৪৫)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মধু বিক্রি করতে কক্সবাজার থেকে ওই দুজন রানীরবন্দর বাজারে এসেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রানীরবন্দর এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, রংপুর থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি গেটলক বাস রানীরবন্দর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী নামিয়ে চলে যায়। ওই যাত্রীরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে উঠছিলেন। এ সময় দিনাজপুর থেকে রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা বিআরটিসির বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডানের দিকে চেপে ভ্যানসহ দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ধাক্কা দেয়। রাস্তায় ছিটকে পড়লে বাসের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালকসহ চারজনের মৃত্যু হয়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন বিআরটিসি বাসটি আটক করেন। বিক্ষুব্ধ লোকজন ইটপাটকেল ছুড়ে বাসের সামনের কাঁচ ভাঙেন। কিছু সময়ের জন্য রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
রানীরবন্দর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় চার পথচারী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন বাসটিকে আটক করে রাস্তা অবরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চিরিরবন্দর থানা-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কাজ করছেন।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক বাসটি দশমাইল হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। সকালে সাড়ে ১০ টায় যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এই বিষয়ে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।