বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ‘গুম হওয়া’ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, ফ্যাসিস্ট সরকার পতন হলে ইলিয়াস আলীকে ফেরত পাব। কিন্তু বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে এখনো তাঁর কোনো সন্ধান পাইনি।’
আজ রোববার দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার অলংকারী এলাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মরহুম তেরা মিয়া ও সুফিয়া বেগম স্মরণে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বিনা মূল্যে এই চক্ষু ক্যাম্প ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। অলংকারী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রায় চার শ রোগী সেবা নেন। পুরো ক্যাম্প তত্ত্বাবধায়ন করেন চিকিৎসক মো. শামছুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাহসিনা রুশদীর আরও বলেন, ‘আমি অনুরোধ জানাব একটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সকলকে বের করতে হবে। এ ছাড়া গুমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।’
তাহসিনা রুশদীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট। গত ১৭ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীদের যে দমন-নিপীড়ন-গুম-হত্যা চালিয়েছে, এরপরও তাদের সঙ্গে কী ভদ্রতা দেখাবেন? তাদের সঙ্গেও সে রকম ব্যবহার করা উচিত ছিল। কিন্তু বিএনপি দল হিসেবে ভদ্র। তাই তাদের মতো বিএনপি এসব করেনি। করবেও না।’
চিকিৎসা ক্যাম্প উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যের ওল্ডহাম বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর জ্যেষ্ঠ ছেলে আবরার ইলিয়াস, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. লিলু মিয়া।
অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ময়নুল হক, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান, বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের সহসভাপতি মিছবাহ উদ্দিন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. শামছুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।