সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শাহ পরান হলের মধ্যবর্তী জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই কর্মী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আরিফ আহমদ ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের আশফাকুর রহমান। তাঁদের সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। নেতৃত্বে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বলয় তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের কর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের ব্যাচের নামকরণ আলোচনা হয়। ওই মেসেঞ্জার গ্রুপে নামকরণ নিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহসভাপতি মামুন শাহের সমর্থক তানভীর ইশতিয়াকের সঙ্গে অন্যদের কথা–কাটাকাটি হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে মামুন শাহের সমর্থকদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শাহ পরান হলের মধ্যবর্তী জায়গায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকেরা মহড়া দেন। এতে মামুন শাহের দুজন সমর্থক আহত হন।
মামুন শাহের সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যাচের নামকরণ তাঁর পছন্দ না হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এ নিয়ে অন্য পক্ষ শাহ পরান হলে ডেকে নিয়ে শাসিয়েছে। এর জেরেই ঝামেলা হয়।’ এ বিষয়ে খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান বলেন, ‘ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ঝামেলা হওয়াতে মীমাংসার উদ্দেশ্যে বসা হয়। সেখানে সেটা মীমাংসাও হয়। কিন্তু পরে ইশতিয়াক অন্যদের নিয়ে গিয়ে ঝামেলা বাধায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাচের নামকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।