জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় অবস্থানরত ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর পূর্বপরিচিত এক তরুণ। এ সময় সঙ্গে ছিলেন আরেক তরুণ। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তাঁদের একজনের কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র বা পিস্তলের মতো বস্তু দেখতে পান নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আটকের পর পুলিশ জানায়, পিস্তলটি সত্যিকারের নয়, খেলনা।
গতকাল রোববার ১০ টার দিকে উপজেলার ডাকবাংলোতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই তরুণকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন মেলান্দহ উপজেলার বয়রাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা তানভীর আহমেদ ও নিহাল আহমেদ।
পুলিশ, নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, নিজের নির্বাচনী এলাকায় (জামালপুর-২) বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে গত শুক্রবার থেকে ইসলামপুর আছেন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। গতকাল দিনের কর্মসূচি শেষে রাতে ডাকবাংলোতে বসে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন। গতকাল রাতে অন্যদের মধ্যে ওই দুই তরুণও দেখা করতে আসেন।
আটক দুই তরুণদের মধ্যে একজন ধর্মমন্ত্রীর পরিচিত ছিলেন। তাঁদের দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খেলনা পিস্তলসহ তাঁরা মন্ত্রীর ডাকবাংলোতে কী উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারাও কাজ করছেন।ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সাক্ষাৎ শেষে দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় নিহাল আহমেদের কোমরে পিস্তলের মতো বস্তু দেখতে পান নেতা-কর্মীরা। এ সময় ওই পিস্তলসহ দুই তরুণকে আটক করেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে নিহাল ও তানভীরকে আটক করে থানায় যায়।
এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, আটক দুই তরুণদের মধ্যে একজন ধর্মমন্ত্রীর পরিচিত ছিলেন। তাঁদের দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খেলনা পিস্তলসহ তাঁরা মন্ত্রীর ডাকবাংলোতে কী উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারাও কাজ করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বক্তব্য জানতে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য একটি ট্রলারে আছি। ট্রলারের শব্দে কথা শোনা যায় না।’