শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্য হাতির আক্রমণে মো. নুরুল ইসলাম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই গ্রামে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার তাওয়াকুচা বিটের উত্তরে সেগুনেরচালি এলাকার জঙ্গল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগের ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ হাতির আক্রমণে নুরুল ইসলামের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বন বিভাগ ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নুরুল ইসলাম ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড় এলাকায় গরু চরাতে যান। সন্ধ্যার দিকে গরুর দল বাড়িতে ফিরে এলেও নুরুল ইসলাম ফিরে আসেননি। স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাওয়াকুচা বিটের উত্তরে গারো পাহাড়ের সেগুনেরচালি এলাকার জঙ্গলে নুরুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বজনেরা তাঁর লাশ উদ্ধার করে উপজেলার গুরুচরণ দুধনই গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মৃত ব্যক্তির মুখের বাঁ পাশ থেঁতলানো অবস্থায় দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাতির আক্রমণে নুরুল ইসলাম মারা গেছেন।
দীর্ঘ দুই যুগ ধরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড় সীমান্তের লক্ষাধিক মানুষ বন্য হাতির আক্রমণের আতঙ্ক নিয়ে দিন যাপন করছেন। এ সময়ে হাতির আক্রমণে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। নানা কারণে মারা পড়েছে ৩৫টি হাতি। হাতির আক্রমণ প্রতিরোধে এবং হাতি-মানুষের সহাবস্থানে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন সংগঠন স্থায়ী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।