সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ওই কেন্দ্রে ৩০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করলে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রে ঢুকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী নেতা অবনি মোহন দাসের সমর্থকেরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা গণেন্দ্র চন্দ্র সরকারের এক সমর্থক কেন্দ্রে একাধিকবার ঢুকে জাল ভোট দিয়েছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সজীব হাওলাদার তখন বিষয়টি দেখছেন বলে তাঁদের জানান। এরপর অভিযোগকারীরা কেন্দ্র থেকে বের হলে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত লোকজন এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সজীব হাওলাদার বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে নয়, বাইরে ঝামেলা হয়েছে। এ কারণে কিছু সময় ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আলাউদ্দিন বলেন, সামান্য সময় ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
সুনামগঞ্জে প্রথম ধাপে আজ শাল্লা ও দিরাই উপজেলায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই দুই উপজেলায় ১১১টি কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম ৭৬টি এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে ২৮টি।
জেলার ভাটির এই দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে দিরাই উপজেলায় ৫ ও শাল্লা উপজেলায় ৪ জন আছেন।