ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গোলাম কবির (৬৮) নামের আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে শটগান প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদরের চৌরাস্তাসংলগ্ন খান প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
গোলাম কবির জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সাবেক সদস্য। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং পেশায় চিকিৎসক।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তাসংলগ্ন খান প্লাজার চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে ‘ডা. গোলাম কবির নার্সিং ইনস্টিটিউট’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন গোলাম কবির।
খান প্লাজার মালিক সালমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনের চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে বিরোধ চলছিল গোলাম কবিরের। এ নিয়ে ভাড়াটে ও ভবনের মালিকের মধ্যে একাধিক মামলাও চলছে।
আজ দুপুরে গোলাম কবির শটগান নিয়ে তাঁর নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় সালমা বেগম ও তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় এবং তাঁদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোলাম কবিরের সঙ্গে সালমা বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ গোলাম কবিরকে থানায় নিয়ে যায়।
সালমা বেগমের অভিযোগ, গোলাম কবির ঠিকমতো ভাড়া দেন না। আজ দুপুরে তিনি ভবনে এলে তাঁর কাছে ভাড়া চাইলে তিনি তাঁকে ও তাঁর মেয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং ব্যাগ থেকে শটগান বের করে গুলি করতে যান।
গোলাম কবির বলেন, ‘ঘটনাটি মিথ্যা। আমি নতুন একটি শটগান কিনেছি আমার নিরাপত্তার জন্য। আমার নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে লাইসেন্সের কাগজপত্রসহ শটগানটি নিয়ে ফরিদপুর ডিসি (জেলা প্রশাসক) অফিসে যাওয়ার জন্য নিচতলায় নামছিলাম। এ সময় সালমা বেগম ও তাঁর মেয়ে জোর করে আমার অস্ত্রটি কেড়ে নিতে চায়। তখন তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল ওহাব বলেন, গুলিসহ অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। তবে গোলাম কবিরকে আটক করা হয়নি। তাঁকে (গোলাম কবির) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এভাবে জনসম্মুখে অস্ত্র প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখানো আইনগত অপরাধ। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।