বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু করেছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ১৬৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে জেলার বাকি পাঁচটি উপজেলার কমিটিও কয়েক দিনের মধ্যে গঠিত হবে।
এর আগে গত ২ নভেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় ১১১ সদস্যের জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে দেশে প্রথম জেলা কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়।
রোববার রাত নয়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা ফেসবুক পেজে কুমারখালীর কমিটি প্রকাশ করা হয়। পোস্টে বলা হয়, আগামী তিন মাসের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো। এর কিছুক্ষণ পর পোস্টটি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া শাখার সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান। কমিটিতে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান ও সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে।
আহ্বায়ক কমিটিতে কুষ্টিয়ার কুওয়াতুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আলী খানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
কমিটিতে মুখ্য সংগঠক হয়েছেন কুমারখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নয়ন হোসেন ও মুখপাত্র হয়েছেন একই কলেজের মাশরাফি ইসলাম। এ ছাড়া কমিটিতে ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১২ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ১৫ জনকে সংগঠক ও ১২১ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
যুগ্ম আহ্বায়কেরা হলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফাবিহা ইবনাথ, ভেড়ামারা সরকারি কলেজের ছাত্র আলামিন হোসেন, কুমারখালী সরকারি কলেজের জুবায়ের আহমেদ, সুরাইয়া খাতুন, মো. আকিব হোসাইন ও আলামিন রাজন, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের গোলাম কাওসার, কে এন শাহিন কাদের ও কাজল আহমেদ, কুমারখালী রাগিব হাসান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের রিপন হোসেন এবং ঢাকা আমেরিকান ইউনিভার্সিটির আকাশ হোসেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই কমিটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ছাত্রসমাজের সংগ্রামী চেতনা আরও সুসংগঠিত করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই নবগঠিত কমিটির প্রত্যেক সদস্য তাঁদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে। সবার সহযোগিতায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হবে। জেলার বাকি পাঁচটি উপজেলা কমিটিও কয়েক দিনের মধ্যে গঠন করা হবে।’