বগুড়া সদর উপজেলায় মাহমুদা আক্তার ওরফে মারুফা নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর স্বামী সাজ্জাতুল আরিফিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক অশোক কুমার সিংহ জবানবন্দি দেওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জবানবন্দিতে সাজ্জাতুল বিদেশ যাওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এর আগে আজ ভোরে সদর উপজেলার গোকুল বন্দর এলাকা থেকে সাজ্জাতুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার ধাওয়াকোলা এলাকার বাসিন্দা।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজ্জাতুল আরিফিনের স্ত্রী মাহমুদা আক্তারের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাহমুদার বাবা আবদুল মান্নান প্রথমে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। কিন্তু পরে জানা যায়, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জামাতা সাজ্জাতুল আরিফিন ও তাঁর চাচা মো. সরাফ উদ্দিনকে আসামি করে পরে হত্যা মামলা করেন আবদুল মান্নান।
ওসি বলেন, সাজ্জাতুল দীর্ঘদিন ওমানে ছিলেন। সেখান থাকতে প্রতি মাসে স্ত্রীকে টাকা পাঠাতেন। কয়েক দিন আগে সাজ্জাতুল দেশে ফেরেন। কিছুদিন পর তাঁর ওমানে যাওয়ার কথা। এ জন্য তিনি স্ত্রীর কাছে টাকা চান। ২০ জুলাই এ নিয়ে সাজ্জাতুলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় মাহমুদার। একপর্যায়ে সাজ্জাতুল স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে টিনশেড ঘরের বাঁশের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন।