কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পদ্মাপাড়ে গাড়ির ভেতর থেকে চালক সম্রাট খানের (২৯) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় সম্রাটের বন্ধু আবদুল মমিন ও তাঁর স্ত্রী সীমা খাতুনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সীমা খাতুন আগেই পুলিশের কাছে আটক আছেন। তাঁর স্বামী আবদুল মমিন এখনো পলাতক।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন যে অর্থ আত্মসাতের জন্য তাঁর ছেলে সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে। আটক নারীর দেওয়া তথ্য, মামলার বাদীর এজাহারসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে মামলাটির তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে। আটক নারীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে সীমাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। মামলার অপর আসামি সীমার স্বামী আবদুল মমিনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
নিহত গাড়িচালক সম্রাট খান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিয়োজিত একটি বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভাড়া গাড়ির চালক ছিলেন। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার সকালে পদ্মাপাড় থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে লাশ উদ্ধারের আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত হন আবদুল মমিন ও তাঁর স্ত্রী সীমা খাতুন। গাড়িটির খোঁজ করতে গিয়েই তাঁদের শনাক্ত করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সীমা হত্যার কথা স্বীকার করেন।