শেখ হাসিনার পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে দাবি করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এক দফার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে গণতন্ত্রমনা সব দল কর্মসূচি দিয়েছে। এতে নিশ্চিত হয়েছে তিনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারছেন না।
আজ শুক্রবার খুলনা নগরের একটি হোটেলে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক উপবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন। গুম-খুন, নির্যাতিত, অসহায় ও অসচ্ছল নেতা-কর্মীদের পরিবারের সন্তানদের মাঝে এ উপবৃত্তির অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিদেশিদের কাছে বলেছেন, ১৪ বছর ধরে তিনি দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছেন। দিনের ভোট রাতে করে, জনগণের সব ধরনের অধিকার কেড়ে নিয়ে উনি মিথ্যাচারের মডেলে পরিণত হয়েছেন। আইএমএফের চাপে সরকার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার। এরা দুর্নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ শেষ করেছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র শেষ করেছে। ব্যাংকগুলো এলসি খোলা বন্ধ করে দিয়েছে।’
তারেক রহমানের নির্দেশে মাত্র ২-৩ দিনের প্রস্তুতিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে জনসমুদ্র সৃষ্টি হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, অপর দিকে একটি শান্তি সমাবেশ করেছেন ওবায়দুল কাদের সাহেবরা। যার শুরুতে ছিল চেয়ার–ছোড়াছুড়ি। ওই সমাবেশে শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই দক্ষিণ সিটির মেয়র তাপস বলেছেন, আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা দখল করে তাঁরা নির্বাচন করে দেখিয়ে দেবেন। এই বক্তব্যে তাঁদের মনোভাব প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড তুলে ধরে রিজভী বলেন, নির্যাতন–নিপীড়নের শিকার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে ফাউন্ডেশন। তাঁদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসনে সহায়তা করা হচ্ছে। জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকতে এ ধরনের গণমুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনীতিকে জনগণের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্প উপকমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ফাউন্ডেশনের রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির চেয়ারম্যান শাহ মো. আমানুল্লাহ, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর কমিটির সদস্যসচিব শফিকুল আলম (তুহিন) ও জেলা কমিটির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নাজমুস সাদাত।