টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজছাত্র ইমনের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার নিহত ইমনের ভাই মো. সুমন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলাটি করেন। নিহত ইমন জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন উত্তরপাড়ার মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।
মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, হাসান ইমাম খান, ছানোয়ার হোসেন, জোয়াহেরুল ইসলাম, আমানুর রহমান খান ওরফে রানা, অনুপম শাজাহান জয় আছেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র এস এম সিরাজুল, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান, সাইফুজ্জামান সোহেল, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেন, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মঈন হোসেন রাজীব, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেতাব মাহমুদ প্রমুখ।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলাটি করেছেন। মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।