দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে আট বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী ২৯৪/৩-এস পিলার থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে চাপড়া গ্রাম থেকে বিজিবির অচিন্তপুর বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি ২৯ ফুলবাড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ বি এম জাহিদুল করিম জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পরে আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রামের মংলা চন্দ্র দেবনাথ (৫২), গণেশ চন্দ্র দেবনাথ (৪০), বুদা চন্দ্র দেবনাথ (৩৫) ও সোহাগ চন্দ্র (৩১), ১৬ বছরের এক কিশোর এবং দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আকড়গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান হিটলার (৩৫)। অনুপ্রবেশে সহায়তাকারী বিরামপুরের চাপড়া গ্রামের বাবু মণ্ডলের ছেলে মমিনুর রহমান (৩৫) ও কায়েজ উদ্দিনের ছেলে ছইবুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিরামপুর উপজেলার অচিন্তপুর বিওপি ক্যাম্পের একটি টহল দল সীমান্তবর্তী চাপড়া এলাকায় নিয়মিত টহলে যায়। ওই টহল দল গোপন সূত্রে জানতে পারে, স্থানীয় চাপড়া গ্রামের চোরাকারবারি মমিনুর রহমান ও ছইবুর রহমানের সহযোগিতায় কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক রাতে ভারতে অনুপ্রবেশের লক্ষ্যে চাপড়া গ্রামে একত্র হচ্ছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই ক্যাম্পের কমান্ডার স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চাপড়া গ্রামে তল্লাশি চালান। এ সময় ওই আটজনকে আটক করা হয়। তবে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে অনুপ্রবেশে সহায়তাকারী উপজেলার চাপড়া গ্রামের বিষু মিয়ার ছেলে রুস্তম আলী (২৭), জহির উদ্দিনের ছেলে মইনুর রহমান (৩২), শাহাজাহান আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৭), কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. রাজু (৩৫) এবং গোপালপুর গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে সোহেল হোসেন (৩৫) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
বিজিবির তল্লাশি অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচটি মুঠোফোন ও ভারতীয় সিমকার্ড, আটটি বাংলাদেশি সিমকার্ড, একটি মুঠোফোন চার্জার, চারটি বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি ভারতীয় আধার কার্ড ও একটি ভারতীয় প্যান কার্ড জব্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে আটক আটজন ও পলাতক পাঁচজনের নামে গতকাল রাতে বিরামপুর থানায় একটি মামলা করেছে বিজিবি। আজ মঙ্গলবার সকালে আসামিদের দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হবে।