সকালে খেতে গিয়ে পোড়া ধানের ছাই দেখলেন কৃষক

খেতে গিয়ে কৃষক রেজাউল মণ্ডল দেখতে পান ধান পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে আছে। শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মোহাম্মপুর গ্রামে
 ছবি: প্রথম আলো

কয়েক দিন আগে খেতের ধান কেটে খেতেই রেখেছিলেন কৃষক রেজাউল মণ্ডল। আজ শনিবার সকালে ধান মাড়াই করার জন্য বাড়ির উঠানে নেওয়া কথা ছিল। কিন্তু খেতে গিয়ে রেজাউল দেখতে পান, ধান পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে আছে। রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা ধানের গাদায় আগুন লাগিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মোহাম্মপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রেজাউল মণ্ডলের তিন বিঘা খেতে ধানের কয়েকটি গাদা (স্তূপ) ছিল। রেজাউল অভিযোগ করেন, তিন বিঘা জমির সব ধান পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

আজ দুপুরে রেজাউল মণ্ডলের ছোট ভাই এনামুল হক বলেন, তাঁরা কৃষক পরিবার। কৃষিকাজ করে সংসার চালান। মাঠে তাঁদের বিভিন্ন ধরনের আবাদ রয়েছে। তাঁর ভাই রেজাউলের তিন বিঘা জমিতে আবাদ করা স্বর্ণা জাতের ধান ৪–৫ দিন আগে কাটা হয়। সেগুলো খেতেই একাধিক গাদা তৈরি করে রাখা ছিল। আজ সেগুলো বাড়ির উঠানে নিয়ে মাড়াই করার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। এরই মধ্যে শুক্রবার দিবাগত রাতে বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখে সবাই ঘুমিয়ে যান। সকাল ৮টার দিকে খেতে গিয়ে দেখতে পান, তাঁদের জমির ধান পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে আছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁর ভাই রেজাউল। তিনি অভিযোগ দিতে মিরপুর থানায় গেছেন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। থানায় অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে।

আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন মুকুল বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মাঠের জমিতে রাখা ধানের গাদায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘শত্রুতা করেই আমার এত বড় ক্ষতি করা হয়েছে। আমার জমির ধানগুলো কী দোষ করল? জমিতে রাখা ধানগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হলো। মানুষের সঙ্গে বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু ফসলের কী অপরাধ? এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি চাই।’