গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর অস্ত্র লুট ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় চারজন গ্রেপ্তার

র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার চার আসামি
ছবি: র‍্যাব থেকে পাওয়া

গোপালগঞ্জে সেনাসদস্যের ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনীর করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ মঙ্গলবার র‍্যাব-৬-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক শরীফ (লাচ্চু), গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা কাজী রফিকুল ইসলাম, পুলিশ শরীফ ও মো. মোস্তাক মোল্লা। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান।

র‍্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জ শহর থেকে আমিনুল হক শরীফকে (লাচ্চু) এবং সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্য তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাবের সদস্যরা। র‍্যাব-৬-এর কোম্পানি কমান্ডার সৈয়দ ফজলুর রহমান অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

এর আগে ১০ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ সদরের গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কেন্দ্র করে সেনাসদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সেনাবাহিনীর ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ জন আহত হন। এ সময় সেনাবাহিনীর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি একটি গাড়িতে আগুন ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজমসহ আওয়ামী লীগের ১০৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর করা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।