চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বড় আকারের শিলা ঝরে পড়ে। আস সকালে উপজেলার হাজীশ্বরাই গ্রামে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বড় আকারের শিলা ঝরে পড়ে। আস সকালে উপজেলার হাজীশ্বরাই গ্রামে

মিরসরাইয়ে এক ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এক ঘণ্টায় শিলাবৃষ্টিতে খেতের ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভোর পাঁচটা থেকে থেকে ঘণ্টাখানেক ধরে পড়া শিলাবৃষ্টিতে ঝরে পড়েছে অনেক গাছের আম। ক্ষতি হয়েছে বোরো ধান, মিষ্টিকুমড়া, টমেটোসহ বিভিন্ন ফসলের। ঘরের চালের টিন ফুটো হয়ে গেছে অনেক বাড়িতে।

কৃষক ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা জানান, আজ ভোরে থেমে থেমে বড় আকৃতির শিলা ঝরেছে। এসব শিলার কোনো কোনোটির ওজন ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত। শিলার আঘাতে বসতঘরের চালা ফুটো হয়ে গেছে অনেক পরিবারের।

মিরসরাইয়ের ফেনাপুনি গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি পাঁচ বিঘা জমিতে এবার বোরো ধান করেছি। এক সপ্তাহ পরেই খেতের ধান কাটা যেত। হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ধানের বেশ ক্ষতি হয়ে গেল।’

শিলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত টিনের চাল। আজ সকালে উপজেলার হাজীশ্বরাই গ্রামে

মঘাদিয়া ইউনিয়নের হাসিমনগর এলাকার কৃষক শহীদুল ইসলাম বলেন, খেতে তোলার উপযোগী ২০ মণের মতো পাকা টমেটো ছিল। আজ ভোরের শিলাবৃষ্টিতে বেশির ভাগ টমেটো নষ্ট হয়ে গেছে।

মিরসরাইয়ে হাজীশ্বরাই এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি মো. নূর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শিলাবৃষ্টিতে অনেক বাড়িতে ঘরের টিনের চালায় বড় বড় ফুটো তৈরি হয়েছে। সকাল থেকে ঘরের টিন বদলানোর কাজ করতে অনেক বাড়ি থেকে ডাক আসছে।

বৃষ্টিতে ঝরে পড়া শিলাগুলো ছিল বড় আকারের। কিছু শিলার ওজন ২৫০ গ্রামের মতো ছিল

উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের হাজিশ্বরাই গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন কেরানি বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে আমার ঘরের টিনের চালের বড় অংশ ফুটো হয়ে গেছে। এখন ঘরের টিন পাল্টাতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে।’

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভোরে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি পড়েছে। এতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে শুনেছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’