মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রের (১৫) ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর সাবেক যুবদল নেতা এস এম আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে তৌহিদী জনতার ব্যানারে শহরের মাদ্রাসা মোড়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এ সমাবেশ ঘিরে বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত এড়াতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। উত্তেজনা থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একদল লোক ওই কিশোরকে ধরে পুলিশে দেন। পুলিশ ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মামলা করার পর গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
রাজশাহী আদালত পুলিশের পরিদর্শক আমান উল্লাহ বলেন, আসামির (কিশোর) বিষয়ে আদালতে শুক্রবার কোনো আদেশ হয়নি। এ জন্য আপাতত তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদেশ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই কিশোর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তার বাড়ি বাগমারা উপজেলায়। তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় তাঁদের কারও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, ওই কিশোরের পরিবারের সদস্যরা আপাতত বাড়িতে নেই। তার বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও ব্যবসায়ী।
তাহেরপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কিশোরকে আটক করে পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আটকের পরই হামলার আশঙ্কায় তাকে বাগমারায় না রেখে রাজশাহীতে পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে তৎপর ছিলেন। তবে আন্দোলনকারীরা আন্তরিক ও সহনশীল থাকায় কিছু হয়নি।