বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে এতে বাধা দেয় পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার লালমাই ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পদুয়ার বাজার নুরজাহান হোটেলে পৃথক এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ একাকার হয়ে আমার কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে আমার কর্মসূচি ভন্ডুল করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা দুইটায় লালমাই উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বাকই উত্তর, পেরুল দক্ষিণ, ভুলুইন দক্ষিণ ও বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৃথক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ছিল। মনিরুল হক চৌধুরীর ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্যান্ডেল করা হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, মনিরুল হক চৌধুরী যাওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তা ভাঙচুর করেন। পরে মনিরুল হক চৌধুরী কর্মসূচি স্থগিত করে কুমিল্লা নগরের পদুয়ার বাজার নুরজাহান হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে গিয়ে পুলিশ বাধা দেয়। অনুমতি ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করা যাবে না বলে পুলিশ সেটি বন্ধ করে দেয়।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘নুরজাহান হোটেলে দূরপাল্লার বাস থামে। সেখানে শত শত লোক থাকে। সেখানে গিয়ে উনি (মনিরুল হক চৌধুরী) সংবাদ সম্মেলন করছেন। যাত্রী ও হোটেলের লোকজনের কথা চিন্তা করে আমরা সেটি না করার জন্য বলেছি। সংবাদ সম্মেলন করলে আগে আমাদের তিনি জানাতেন।’ সংবাদ সম্মেলন করতে হলে অনুমতি লাগে কি না, এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার বলেন, একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়। ওই কারণে কাউকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। ভাঙচুরের কথা তাঁর জানা নেই।
লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিএনপির অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ হামলা করেছেন বলে তিনি শোনেননি।