স্বজনের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের নকলা উপজেলায় ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শাশুড়ি-জামাতাসহ তিনজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের গড়েরগাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পোড়াগাঁও গ্রামের সৈয়দ রহমানের স্ত্রী জবেদা বেগম (৭০), আবদুর রফিকের স্ত্রী আবেদা খাতুন (৫০) ও ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে রাজা মিয়া (৫৫)। রাজা মিয়া নিহত জবেদা বেগমের মেয়ের স্বামী।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন নিহত রাজা মিয়ার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪৮) ও আবেদা খাতুনের ছেলে মো. আরাফাত (৬)। তাঁদের শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিরা অটোরিকশার যাত্রী। তাঁরা ময়মনসিংহের ফুলপুরে এক স্বজনের জানাজা শেষে নালিতাবাড়ী উপজেলার বাড়িতে ফিরছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা থেকে একটি অটোরিকশায় করে কয়েকজন নালিতাবাড়ী যাচ্ছিলেন। রাত নয়টার দিকে নকলা উপজেলার গড়েরগাঁও এলাকায় শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে ময়মনসিংহগামী একটি মালবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। অটোরিকশার যাত্রী জবেদা বেগম ও রাজা মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত আবেদা খাতুন মারা যান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে। দুর্ঘটনার পরপরই চালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নকলা থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন এবং আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠান।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের মিয়া আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত আবেদা খাতুনের ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ চালককে আটক ও তাঁর ট্রাকটি জব্দের চেষ্টা করছে।