সুনামগঞ্জে এক নাতনির বাড়িতে ইফতারি দিতে গিয়েছিলেন ৭৫ বছর বয়সী দাদি শামসুন্নাহার। সদর উপজেলার বড়ঘাট গ্রামে নাতনির বাড়িতে ইফতারি দিয়ে রাতে মোটরসাইকেলে দিরাইয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিল আরেক নাতনি জান্নাত বেগম (১৪)। পথে মালবাহী ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দিলে নাতনিসহ তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের গাগলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেলচালক শহীদুল ইসলাম (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের তলবাউসী গ্রামের আতাউর রহমানের মা শামসুন্নাহার (৭৫) ও ছোট মেয়ে জান্নাত বেগম (১৪)। তাঁদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে ও অন্যজন হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী দুর্ঘটনার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোট নাতনি জান্নাতকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল দিরাই থেকে সুনামগঞ্জে যান শামসুন্নাহার। তিনি সদর উপজেলার বড়ঘাট গ্রামে নাতনির বাড়িতে ইফতারসামগ্রী দিতে গিয়েছিলেন। পরে রাতে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফেরার পথে গাগলী এলাকায় একটি মালবাহী ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শামসুন্নাহার নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার সময় জান্নাত মারা যায়।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরেকজন হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা গেছেন। মোটরসাইকেলচালককে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে।