ভোলার মেঘনা নদীতে বড় বড় পাঙাশ মাছ ধরা পড়ছে। ইলিশ মাছ কম ধরা পড়লেও বিপুল সংখ্যায় পাঙাশ পাওয়ায় পুশিয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন জেলেরা।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের চডারমাথা মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি নৌকা দুটি–তিনটি করে পাঙাশ পাচ্ছে। এসব পাঙাশ জেলেরা দড়িকাছি দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসছেন। একেকটি পাঙাশ ২ থেকে ১২ কেজি ওজনের। ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ।
চডারমাথা মাছঘাটের নিরব মাঝি (৩৪) অন্যান্য মাছের সঙ্গে ৭টি পাঙাশ পেয়েছেন। সেই পাঙাশ মাছ শাহাবুদ্দিন ফরাজির আড়তে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
ঘাটের আড়ৎদার শাহাবুদ্দিন ফরাজি বলেন, চডারমাথা মাছঘাটে আজ কমপক্ষে ২ হাজার পাঙাশ পেয়েছেন জেলেরা। এসব পাঙাশ গড়ে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ২৮ অক্টোবর রাতে নদীতে নেমে ভালোই ইলিশ পেয়েছিলেন। তবে পরের দুই দিন তেমন ইলিশ মেলেনি। তবে পাঙাশ ধরা পড়ায় জেলেদের পুষিয়ে যাচ্ছে।
কেন এত বেশি পাঙাশ ধরা পড়েছে—জানতে চাইলে আতিক মাঝি (৪৫) বলেন, নদীতে কুয়াশা বাড়লে জালে পাঙাশ বেশি ধরা পড়ে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার পর ভোলায় শীতের ছোঁয়া লেগেছে। নদীতে কুয়াশা পড়ছে। তাই জালে পাঙাশ ধরা পড়ছে।
আব্দুল জলিল নামের এক জেলে বলেন, তিনি এই কয়দিনে প্রায় ৫ হাজার টাকার পাঙাশ পেয়েছেন। আর ইলিশ পেয়েছেন ২ হাজার ১২০ টাকার।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা মো. এমদাদুল্লাহ বলেন, পাঙাশের প্রধান শত্রু চাঁই। তিনি ভোলায় যোগ দেওয়ার পর ৫০টির মতো চাঁই ধ্বংস করেছেন। আরও ৩৫০টির মতো চাঁই আছে মনপুরা ও সদর উপজেলায়। কিন্তু চাঁই ধ্বংস করার উদ্যোগ নিলে বাকিরা আর চাঁই পাতার সাহস পাননি। এ কারণে বড় পাঙাশ মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।