সভা ডেকে বিএনপি মাঠে নেই, সরব আ.লীগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সভা ডেকে মাঠে নামতে পারেননি বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ শনিবার উপজেলার দুই জায়গায় সভা ডাকা হলেও নেতা–কর্মীদের কেউই সেখানে উপস্থিত হননি। তবে দিনভর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা মাঠে সরব ছিলেন।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট গুম, খুন, হত্যা ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সমাবেশ করার কথা ছিল। সে সময় বিএনপির নেতা–কর্মীরা মাঠে ছিলেন না। সেদিনও মাঠ ছিল আওয়ামী লীগের দখলে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, সাংগঠনিক সভার কথা বলা হলেও এটি মূলত গুম, হত্যা, খুন ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা যেখানেই সভা করতে চেয়েছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীরা সেখানেই সভা করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রূপসদী ও সোনারামপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাংগঠনিক সভার অনুমতি চেয়ে ৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে উপজেলা বিএনপি। শনিবার বেলা ১১টায় সভায় প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন। কিন্তু রূপসদী ও সোনারামপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা অবস্থান নেন। পরে দুপুরে তাঁরা সেখানে পৃথক সভা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই উপজেলাজুড়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীরা সরব ছিলেন। তাঁরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার রূপসদী, সোনারামপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, কড়িকান্দি ফেরিঘাট, সদর, মরিচাকান্দি, উজানচর ও ফরদাবাদে সভা করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দল ও নেতা–কর্মীদের চাঙা করতে উপজেলা সদরসহ ১৩টি ইউনিয়নেই তাঁরা সভা করেছেন। নির্বাচনের আগপর্যন্ত এসব সভা চলবে। কে কী করল না করল, এসব তাঁদের দেখার কোনো বিষয় না।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের নেতা–কর্মীদের তল্লাশি করেছে। বিএনপি সোনারামপুর ও রূপসদী সভা ডাকে। ক্ষমতাসীন দলও সেখানে সভা ডাকে। পরে বিএনপি ফেরিঘাট ও সোনারামপুরের অন্য আরেকটি জায়গায় সভা ডাকে। সেখানে আওয়ামী লীগ সভা করে।

লিয়াকত আলী অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় তারা তিন-চার ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলামের ভাতিজা ছয়ফুল্লাকান্দির ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও তাঁর লোকজন মিলে সাবেক যুবদল নেতা নিজাম উদ্দিন, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আসুক মিয়া ও তাঁর ছেলেসহ কয়েকজনকে আটকে মারধর করেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ছয়ফুল্লাকান্দির ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এসব তাঁরা বানিয়ে বলছেন।