ইসি রাশেদা সুলতানা

কেন্দ্রে ভোটার আনা প্রার্থীদের দায়িত্ব, কমিশন ভোটার এনে দেবে না

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বুধবার বেলা ১২টায় প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা
প্রথম আলো

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই, সেই নির্বাচনের কোনো মানে নেই। এর সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত। সেটা হলো ভোটার। ভোটার নেই, নির্বাচনের প্রাণ নেই। নির্বাচনের প্রাণ হচ্ছে ভোটার ও প্রার্থী। সে জন্য ভোটারকে কেন্দ্রে আনা খুবই জরুরি। কেন্দ্রে ভোটার আনা প্রার্থীদের দায়িত্ব। ভোটার কিন্তু নির্বাচন কমিশন এনে দেবে না।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন রাশেদা সুলতানা।

রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন একদম দোরগোড়ায়। হাতে বেশি সময়ও নেই। নির্বাচন কমিশনাররা সব জায়গায় যাচ্ছেন। তাঁরা প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বসছেন। কারণ, তাঁরা মনে করেন, নির্বাচনটা একটা সমন্বয়ের ব্যাপার। সমন্বয় না হলে নির্বাচনের কাজটা হয় না। এটা একটা মহাযজ্ঞ। নির্বাচন কমিশন ও তাদের অধীনস্থদের পক্ষে এত বড় একটা নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এ জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধাপে ধাপে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন একদম সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পরিচ্ছন্ন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে করতে হবে, যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে বলতে পারেন, তাঁরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করতেই তাঁদের ছুটে চলা।

রাশেদা আরও বলেন, ‘আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, কেন্দ্রে এসে ভোটাররা যদি ভোট দিতেই না পারেন, তাহলে ভোটার এনে কী করব? আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে এই বার্তা দিতে চাই, এবার কিন্তু আমরা ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছি। আপনাদের দ্বারে দ্বারে আসা আমাদের এটাই বড় উদ্দেশ্য। আপনারা অবশ্যই ভোটার আনবেন। ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্র আমরা তৈরি করব। এ পরিবেশ যাতে বজায় থাকে, সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভালো ভোট হলে আমরা স্বীকৃতি পাব। এটুকুই আমাদের কমিশনের চাওয়া। সবার সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নির্বাচন স্বচ্ছ কি অস্বচ্ছ ভোট হচ্ছে, সেটা তুলে ধরার একমাত্র বড় মাধ্যম সাংবাদিক। অবশ্যই পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো রকম অপপ্রচার করা যাবে না।

গাইবান্ধার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ইসি রাশেদা সুলতানা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।