নোয়াখালীতে বিয়েবাড়িতে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বিয়েবাড়িতে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টায় কবিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাতেই তাকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে কবিরহাট থেকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এমন এক কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যানুযায়ী অভিযুক্ত তরুণের নাম মোহাম্মদ টিপু (২৫)। তিনি উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারসংলগ্ন মালিপাড়া এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত টিপু সপরিবার গা ঢাকা দিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল স্বজনদের সঙ্গে বাড়ির পাশে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় ওই কিশোরী। রাতে মেয়েকে রেখে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়িতে চলে যান ওই কিশোরীর মা-বাবা। রাত ১১টার দিকে অভিযুক্ত টিপু কৌশলে ওই কিশোরীকে বিয়েবাড়ির ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্ত টিপু কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

বিয়েবাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত তরুণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।