পদ্মা নদীর এক পাঙাশ বিক্রি হলো ২৯ হাজারে

পদ্মা নদীর পাঙাশের স্বাদের জুড়ি নেই। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে ১৯ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের এই পাঙাশ মাছটি ধরা পড়েছে আজ
ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে ১৯ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে। গোয়ালন্দ উপজেলার বাহির চর দৌলতদিয়া এলাকায় সিরাজগঞ্জের এক জেলের জালে আজ শনিবার সকালে মাছটি ধরা পড়ে। দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাটে মাছটি ২৯ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আজ সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটে বিক্রির জন্য পাঙাশ মাছটি নিয়ে আসেন সিরাজগঞ্জের জেলে আলমগীর মোল্যা ও তাঁর ভাই আজগর মোল্যা। ফেরিঘাট এলাকার মাছের আড়তদার রওশন মোল্যার আড়তে পাঙাশটি নিলামে তোলা হয়। স্থানীয় কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী নিলামে শরিক হন। ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার চাঁদনী অ্যান্ড আরিফা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী চান্দু মোল্যা ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছটি কেনেন। এ ছাড়া একটি দেড় কেজি ওজনের পদ্মার ইলিশ ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরেও কেনেন তিনি।

পাঙাশটি বিক্রি শেষে জেলে আজগর মোল্যা বলেন, আজ সকালে ফেরিঘাটের কাছের বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়ায় পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন। ঘণ্টাখানেক পর সকাল ৯টার দিকে তাঁদের জালে বড় ঝাঁকি লাগে। তখনই বুঝতে পারেন, বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখেন বড় এক পাঙাশ। বিক্রির জন্য আনেন ফেরিঘাটের রওশন মোল্যার আড়তে। এ মৌসুমে তাঁরা কয়েকটি বড় পাঙাশ ও বাগাড় মাছ পেয়েছেন। তবে এই পাঙাশটি ছিল সবচেয়ে বড়।

পদ্মা নদীতে ধরা পড়া দেড় কেজি ওজনের এই ইলিশটি ৩ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে

মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্যা বলেন, পাঙাশটির ওজন ১৯ কেজি ৭০০ গ্রাম। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কেনেন। পাঙাশটি ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। বেলা ১টার দিকে মুঠোফোনে ঢাকার পরিচিত এক ব্যক্তির (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সঙ্গে কথা বলে কেজি প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা করে লাভে ২৯ হাজার ৫০০ টাকায় তিনি মাছটি বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া তিনি দেড় কেজি ওজনের একটি ইলিশ আরেক জেলের কাছ থেকে সরাসরি ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৩ হাজার ৭০০ টাকায় কেনেন। এই ইলিশটিও তিনি কেজি প্রতি ১০০ টাকা লাভে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় অন্য এক ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছেন বলে জানান।

গোয়ালন্দ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলে নদীতে পানি বাড়বে, আর তখনই মাছ ধরা পড়বে। দেরিতে হলেও আমাদের অঞ্চলে বর্ষা এসেছে। বৃষ্টি আরও হলে আরও মাছ ধরা পড়বে। পানির গভীরতা বাড়লে নদীতে স্রোত দেখা দেয়। স্রোতের বিপরীতে মাছ উজানে ছুটতে থাকে। আর তখন জেলেদের জালে এ ধরনের বড় মাছ ধরা পড়ে। যা এ অঞ্চলের জেলেদের জন্য বড় সুখবর।’