কুড়িগ্রামে তিস্তায় নৌকাডুবির ঘটনার আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন চারজন। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বজরা ইউনিয়নের খামার দামারহাটের তিস্তা খেয়াপাড় এলাকায় ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে
কুড়িগ্রামে তিস্তায় নৌকাডুবির ঘটনার 
আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন চারজন। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বজরা ইউনিয়নের খামার দামারহাটের তিস্তা খেয়াপাড় এলাকায় ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে

তিস্তায় নৌকাডুবির ঘটনায় আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৪

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীতে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ইরা মনি (১০) নামের আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বজরা এলাকার চর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নৌকাডুবির পর মোট তিন শিশুর লাশ উদ্ধার হলো। এ ঘটনায় এখনো চারজন নিখোঁজ আছেন।

লাশ উদ্ধার হওয়া ইরা মনি উপজেলার পশ্চিম বজরা এলাকার ইউসুফ আলীর মেয়ে। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বজরা ইউনিয়নের খামার দামারহাটের তিস্তা খেয়াপাড় এলাকায় ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তিস্তায় নৌকাডুবির ঘটনায় চার শিশুসহ মোট ছয়জন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে গত শনিবার এক শিশু ও আজ আরেক শিশুর লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এখনো চারজন নিখোঁজ আছেন। তিস্তা নদীর পশ্চিম বজরা ঘাট থেকে ভাটিতে আরও দুটি লাশ দেখা গেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দলকে সেদিকে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার খামার দামারহাট পশ্চিম বজরা এলাকার কয়জাল হকের পরিবার ও তাঁদের স্বজনেরা মিলে ২৬ জন পুরাতন বজরা বাজার ঘাট থেকে একটি নৌকায় ওঠেন। তাঁরা তিস্তার ওপারে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় আলীবাবা থিম পার্ক এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে ঈদ-পরবর্তী দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। নৌকাটি ঘাট থেকে ছাড়ার পর তিস্তার প্রবল স্রোতে উল্টে নদীতে ডুবে যায়। এ সময় কয়েকজন সাঁতরে তীরে ওঠেন এবং কয়েকজনকে স্থানীয় লোকজন অন্য নৌকার সাহায্যে উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে। তারা মোট ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার ও পশ্চিম বজরা এলাকার আজিজুর রহমানের শিশুকন্যার (২) লাশ উদ্ধার করে। এরপর ছয়জন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে গত শনিবার ও আজ দুটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। বাকি চারজন এখনো নিখোঁজ। তাঁরা হলেন কয়জাল হকের ভাগনে আনিছুর রহমান, তাঁর স্ত্রী রুপালী খাতুন এবং তাঁদের মেয়ে আইরিন আক্তার (৯) ও স্থানীয় আজিজুর রহমানের ছেলে শামীম (৮)।