নির্বাচন কর্মকর্তার বাসায় আটক আওয়ামী লীগ নেতা ছাড়া পেলেন বাবার জিম্মায়

রাজশাহী নগরের সাগরপাড়া এলাকায় নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদকে উদ্ধার করে পুলিশ
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আটক আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে লিমনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁর বাবা রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের জিম্মায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মীর ইশতিয়াক আহমেদ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে তিনি সিটি নির্বাচনের ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাসায় এসেছিলেন। এ সময় বাইরে থেকে মহানগর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা তাঁকে অবরুদ্ধ করেন। তাঁকে বহিষ্কারের দাবিতে নানা রকম স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে নগরের সাগরপাড়া মহল্লার ওই বাড়ির সামনে রাতে কয়েক শ মানুষ জড়ো হন। দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশ ওই বাসা থেকে ইশতিয়াককে উদ্ধার করে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যান। রাতভর তিনি থানাতেই ছিলেন।

নির্বাচন কর্মকর্তার বাসার সামনে ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভ। রোববার রাতে রাজশাহী নগরের সাগরপাড়া এলাকায়

আটকের সময় ছাত্রলীগের নেতারা সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা মীর ইশতিয়াক আহমেদের মামা রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি বর্তমান কাউন্সিলরও বটে। তাঁকে নির্বাচনে জেতানোর জন্য অর্থ লেনদেন করতে মীর ইশতিয়াক ওই বাসায় ঢুকেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। ছাত্রলীগের নেতারা ভেতরে ঢুকলে তাঁরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান।

রাতে নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, মীর ইশতিয়াক শুধু তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছেন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কি না। তিনি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মীর ইশতিয়াক আহমেদকে আটক করা হয়েছিল, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ জন্য তাঁর বাবা রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের জিম্মায় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।