গোপালপুর আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন

‘গাড়িবহরে হামলার জন্য ভূঞাপুরের মেয়র দায়ী’

মেয়রের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন। বুধবার দুপুরে গোপালপুর প্রেসক্লাবে
ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগরে গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হককে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ বুধবার গোপালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত সোমবার গোপালপুরের আলমনগর ইউনিয়নে ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদুল হকের গাড়িবহরে হামলার যে ঘটনা ঘটেছে, সে জন্য তিনি নিজেই দায়ী। তাঁর মতো একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদের এমন অসাংগঠনিক আচরণ দলের সবাইকে হতাশ করেছে। তাঁর অদূরদর্শিতার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মোমেন। বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলায় সংগঠনবিরোধী কার্যক্রমের জন্য যাঁরা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে মেয়র মাসুদুল হক সোমবার কম্বল বিতরণের নামে ভূঞাপুর থেকে গোপালপুর উপজেলার আলমনগরে আসেন। গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলা নিয়ে টাঙ্গাইল-২ সংসদীয় আসন। ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোপালপুরে আসবেন, সেটি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জানানো হয়নি। এ ছাড়া সন্ত্রাসী স্টাইলে পাথর, জিআই পাইপসহ কয়েকটি মাইক্রোবাস ও শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তিনি গোপালপুরে ঢোকেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোমেন বলেন, মেয়রের এ কাজে সহযোগিতা করেন গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক লুৎফর রহমান। উভয় উপজেলার বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে জোর করে সমাবেশ ও কম্বল বিতরণের চেষ্টা করলে এলাকার নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মেয়রের কর্মী-সমর্থকেরা পাথর ছুড়লে মারামারি শুরু হয়। এতে উভয় উপজেলার ১০–১২ জন কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত না থাকলেও মেয়র মাসুদুল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদারকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ এনে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। মেয়র মাসুদুলের এমন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড দলবিরোধী বলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য এস এম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নগদা শিমলা ইউপির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়েশা আকতারসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।