ঢাকার আমিনবাজারে ককটেল বিস্ফোরণ, ককটেলসদৃশ ৬টি বস্তু উদ্ধার

ঢাকার আমিনবাজার থেকে আজ দুপুরে  ককটেলসদৃশ ৬টি বস্তু উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করতে বালতির পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকার আমিনবাজারে আজ শনিবার দুপুরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার পরপরই সেখান থেকে অবিস্ফোরিত ককটেলসদৃশ ৬টি বস্তু উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আজ একটি রাজনৈতিক দল অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে ওই কর্মসূচি পালনের অনুমতি ছিল না। পুলিশের তৎপরতায় তারা অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এবং ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে তিন থেকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

উল্লেখ্য, আজ গাবতলী, উত্তরা, নয়াবাজার ইউসুফ মার্কেট ও শনির আখড়া এলাকা—এই চার প্রবেশমুখে বিএনপি বেলা ১১টা থেকে ৫ ঘণ্টার ‘অবস্থান’ কর্মসূচি পালনের কথা বলেছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার গাবতলী এলাকায় বেলা ১১টা থেকে ৫ ঘণ্টার ‘অবস্থান’ কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিএনপির। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। সকাল থেকেই পুলিশ ‘অবস্থান’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আমিনবাজার এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারসহ সতর্ক অবস্থান নেয়। এ ছাড়া অপর একটি রাজনৈতিক দলের (আওয়ামী লীগের) নেতা-কর্মীরা আমিনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে অবস্থান করেন। বেলা দুইটার দিকে এই কার্যালয়ের অদূরে মেসার্স শাহ আলম ফিলিং স্টেশনের সামনে পরপর তিন থেকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি কাগজের বাজারের ব্যাগ খুঁজে পায়। ব্যাগের ভেতরে তারা লাল স্কচটেপে মোড়ানো ককটেলসদৃশ ৬টি বস্তু দেখতে পায়। পরে এগুলো নিষ্ক্রিয় করতে একটি বালতির পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়।

ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ফিলিং স্টেশনের নিচেই বসে ছিলাম। হঠাৎ চারটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। এরপর ধোঁয়া দেখতে পাই।’

ইসমাইল হোসেন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘তিনজন ছিল, যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাঁরা তিনটি ককটেল ছুড়ে মারে পাম্পের দিকে। পরে শব্দ শুনছি। তাঁরা পাম্পের পাশের রাস্তা দিয়ে দৌড়ে চলে যায়।’

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) আব্দুল্লাহিল কাফী প্রথম আলোকে বলেন, তিন থেকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের পর বাকি ককটেলগুলো ফেলে পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। পরে ৬টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।