বরিশালে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বরিশাল মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক জিয়াউল আহসান ওরফে শামীম (৫২) নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল–সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে জিয়াউল আহসানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত জিয়াউল আহসান নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাথা এলাকার মৃত আবুল কাশেম ব্যাপারীর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী সৌদিয়া পরিবহনের বাস কাউন্টারের ব্যবস্থাপক ইমাম হোসেন বলেন, কৃষক দলের নেতা জিয়াউল আহসান আজ সকালে নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি সড়কের বাঁ পাশেই ছিলেন। তবে উল্টো পথ দিয়ে আসা দ্রুতগামী আরেকটি মোটরসাইকেল জিয়াউলের মোটরসাইকেলের সামনে চলে এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি মোটরসাইকেলের চালকই আহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের তাঁদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই জিয়াউল আহসানের মৃত্যু হয়।
জিয়াউল আহসানের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান নগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে স্বজন ও নেতা–কর্মীদের কান্না ও আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
বরিশাল নগর বিএনপির সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, জিয়াউল আহসানের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। একজন প্রাণবন্ত সংগঠক হিসেবে তিনি জাতীয়বাদী দলের আদর্শিক রাজনীতির একনিষ্ঠ নেতা ছিলেন।