শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সিজান আকন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লোনসিং মাদবর বাজার এলাকায় তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে সিজানকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১০টার দিকে সে মারা যায়।
সিজান আকন নড়িয়া উপজেলা সদরের সরকারি বিহারি লাল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং নড়িয়া পৌরসভার পশ্চিম লোনসিং গ্রামের বিল্লাল আকনের ছেলে। এ ঘটনায় সিজানের দুই বন্ধু মুন্না ছৈয়াল (১৯) ও আসিফ ব্যাপারীকেও (১৮) কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তাঁরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাদীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইব্রাহিম জয় (২২) ও রাহিম হাওলাদার (২৪) নামের দুই তরণকে আটক করেছে।
নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারের ভাষ্য, গতকাল রাতে সিজান বাড়ির পাশে একটি নির্জন স্থানে বন্ধুদের সঙ্গে মুঠোফোনে খেলছিল। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয় লাবিব ছৈয়াল, ইব্রাহিম জয়, রাহিম হাওলাদার, নাহিম ছৈয়ালও গেম খেলছিল। খেলা নিয়ে সিজানের সঙ্গে লাবিব ছৈয়াল ও তার বন্ধুদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা সিজানকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় সিজানকে উদ্ধার করতে এলে সিজানের বন্ধু মুন্না ছৈয়াল ও আসিফ ব্যাপারীকেও কোপানো হয়।
পরে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ১০টার দিকে সিজান আকনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না ও আসিফকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নড়িয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি ও সিজানের চাচা মোতালেব ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, মুঠোফোনে গেম খেলা ও আপনি থেকে তুমি সম্বোধন করা নিয়ে লাবিব ছৈয়াল, ইব্রাহিম জয়, রাহিম হাওলাদার, নাহিম ছৈয়ালের সঙ্গে সিজানের বিরোধ হয়। তাঁরা পরিকল্পিতভাবে সিজানকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
জানতে চাইলে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রকে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালায়। গতকাল রাতেই নড়িয়ার মাদবর বাজার এলাকা থেকে ইব্রাহিম জয় ও রাহিম হাওলাদার নামে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে নড়িয়া থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের বাবা বিল্লাল আকন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।