মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না। চালের মিলে চাল বস্তাজাত করার সময় বস্তার ওপরে জাতের নাম লিখে দিতে হবে। কেউ যদি এর ব্যতিক্রম করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব কামরুন্নাহার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইয়েদুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কিছুদিন আগে এ–সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত প্রুফ হওয়ার পর সার্টিফায়েড হবে এবং জাতগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে তা কীভাবে মাঠপর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গবেষকদের উদ্ভাবিত জাতগুলো যদি বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আরও সুন্দরভাবে কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে দ্রুত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি, তবে আমাদের ফলন আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে দ্বিগুণের কাছাকাছি চলে যাবে।’
সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব অন্যান্য সচিবদের নিয়ে ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, হাইব্রিড রাইস বিভাগ, কৌলিসম্পদ ও বীজ বিভাগ, জীবপ্রযুক্তি বিভাগ, শস্যমান ও পুষ্টি বিভাগ, রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগ, খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগ, কৃষি অর্থনীতি বিভাগ, কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ফলিত গবেষণা বিভাগ, কীটতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ এবং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্টল পরিদর্শন করেন।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রির মিলনায়তনে কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠপর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ–সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর এ–সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।