ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিং করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। আজ দুপুরে
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিং করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। আজ দুপুরে

‘বিএনপির দাবি রাজনৈতিকভাবে সমাধান সম্ভব, আমাদের কিছু করার নেই’

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘বিএনপিকে একাধিকবার কমিশনের পক্ষ থেকে চা খাওয়ার দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তো আমাদের স্বীকারই করতে চায় না। তাদের দাবি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা সম্ভব। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

আজ শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসি আহসান হাবিব খান এ কথা বলেন। সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ অস্ত্রধারীদের অস্ত্র স্থানীয় থানায় জমা দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।

আহসান হাবিব খান বেলা ১১টায় ঝালকাঠির জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা—তিন জেলার প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. পারভেজ হাসান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, কর্নেল (বিজিবি) খোরশেদ আলম, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহম্মদ শফিউর রহমান, বরগুনার পুলিশ সুপার, মো. আবদুস সালাম, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, বরিশাল র‌্যাব-৮-এর অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর জাহাঙ্গীর আলম, বরিশাল নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনসহ তিন জেলার সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি আগে থেকেই ফৌজদারি মামলা থাকে, সেটি আদালতে স্বাভাবিক গতিতে চলবে। এ ছাড়া সহিংসতা, আগুন–সন্ত্রাস, ভোটের কার্যক্রমে বাধা ও অন্যান্য ফৌজদারি কার্যক্রমের জন্য আইন তার নিজের গতিতে চলবে। কিন্তু বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক মামলার অভিযোগ পাওয়া যায়, এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছ মনোভাব দেখাতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী বা নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের আতঙ্ক যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়টাও বিবেচনায় রাখতে হবে। কোনো প্রার্থীর বাড়িঘর-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টিতে আপনারা অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন। এখানে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে আইনগতভাবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে।