খুলনা সিটি নির্বাচন

প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

বিএনপির দলীয় লোগো
বিএনপির দলীয় লোগো

খুলনা সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১১ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে খুলনা নগর বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার খুলনা নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম প্রত্যেককে চিঠি দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।

নোটিশ পাওয়া নেতা-কর্মীরা হলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসির খান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আব্বাস ফকির, ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. সাবু খন্দকার, রিপন শিকদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শহিদুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন ওরফে বাবলু, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হাবিবুর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা সোহরাব হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. সেলিম ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জিহাদ আল আমিন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয় প্রায় পাঁচ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন এবং প্রায় ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। এরই মধ্যে অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করে রাখা হয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে খুলনা মহানগর বিএনপি খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। অথচ দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

খুলনা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় সিটি নির্বাচনে দলের কোনো নেতা-কর্মী অংশ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি কোনো প্রার্থীর পক্ষে তাঁরা প্রচারও চালাতে পারবেন না। নির্বাচনে কারও অংশ নেওয়ার প্রমাণ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ১ জুন সিটি নির্বাচনে দলের নির্দেশ অমান্য করে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় আটজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। একই কারণে ৩ জুন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ৬ জুন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে তৃণমূল নেতাদের চিঠি পাঠায় খুলনা নগর বিএনপি।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন, যার প্রমাণ ইতিমধ্যে খুলনা মহানগর বিএনপির দপ্তরে এসেছে। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।