ময়মনসিংহে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতকটি মারা গেছে

নবজাতক
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় রাস্তার পাশে প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সেই নবজাতক মারা গেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মেয়েশিশুটি। পরে বেলা ৩টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের ব্যবস্থাপনায় শিশুটির মরদেহ দাফন করা হয়।

গতকাল সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের ভরাডোবা-সাগরদিঘি সড়কের দোলমা গ্রাম থেকে মেয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল ছালাম জানিয়েছিলেন, প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালেও রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছিলেন। এ সময় এক বৃদ্ধা প্লাস্টিকের ব্যাগটি দেখিয়ে বলেন, সেখান থেকে বিড়ালের বাচ্চার মতো আওয়াজ আসছে। পরে ব্যাগটি খুলে ওই নবজাতককে জীবিত অবস্থায় দেখতে পান। ওই সময় তার শরীরে রক্ত লেগেছিল এবং নাড়ি কাটা হয়নি। নবজাতকটিকে এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল হোসেন এবং শহরবানু (৩২) নামের স্থানীয় এক নারীর জিম্মায় দেন তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজসেবা বিভাগ গতকাল বিকেলে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, গত রোববার রাতের কোনো এক সময় নবজাতকটিকে রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়া হয়েছে।

জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক রাজু আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নবজাতকটির ওজন ছিল ১ কেজি ২০০ গ্রাম। অপরিণত বয়সে শিশুটির জন্ম হয়েছিল। আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে মারা যায়। পরে শিশুটির মরদেহ স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সৎকারের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়।

এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল হোসেন বলেন, নবজাতক শিশুটিকে কারা ফেলে গেছে, সে সন্ধান এখনো মেলেনি। শিশুটিকে যে নারী জিম্মায় রেখেছিলেন, তাঁর বাড়ির পাশেই আজ বেলা তিনটার দিকে দাফন করা হয়।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, নবজাতক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গতকালই পুলিশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।