চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় আলাদা দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া ব্যক্তিদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ জিডি করেন তিনি।
সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব এলাকায় এম এ মোতালেব হিসেবে পরিচিত। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
জিডিতে আবদুল মোতালেব উল্লেখ করেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় নিয়মানুযায়ী ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংবলিত একটি তালিকা সংযুক্ত করেছিলাম। ওই তালিকা থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার যাচাই-বাছাই করতে গেলে আমার পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া ব্যক্তিদের নিজস্থানে পাওয়া যায়নি, কেউ কেউ স্বাক্ষর অস্বীকারও করেন। পরে জানতে পারি, প্রতিপক্ষ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর লোকজন আমার পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। এ কারণে অনেকেই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা মুঠোফোনও বন্ধ রেখেছেন। এ অবস্থায় আমার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমি অবশ্যই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, তিনি বা তাঁর পক্ষের কোনো ব্যক্তি হুমকি দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। মোতালেব সাহেব ও তাঁর লোকজন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনার সৃষ্টি করে উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। মোতালেবের লোকজনই কয়েক দিনে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করেছেন বলে জানান নেজামুদ্দিন নদভী।
জিডির বিষয়ে জানার জন্য আবদুল মোতালেবের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. আবু তৈয়ব সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় আলাদা দুটি সাধারণ ডায়েরি করার কথা স্বীকার করেন।
সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব তাঁর নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে সাতকানিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।