বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোর ছয়টার দিকে শহরের আমতলা পাড়ার বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
বরগুনা সদর থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি দল, সদর থানা–পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করে।
জাহাঙ্গীর কবির দাবি করেছিলেন, পদত্যাগ করে দেশ ছাড়া সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ধারণা, দেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে এই ফোনালাপের জেরে জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা, ফোনালাপের জেরে পুলিশ জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করেছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা–কর্মী বলেন, জাহাঙ্গীর কবির দাবি করেছিলেন যে গত সোমবার শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ হয় তাঁর। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের কথা হয়। সেখানে ১৫ আগস্ট কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা ছিল। ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বরগুনা সদর থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা পুলিশের একটি দল জাহাঙ্গীরকে আটক করতে বরগুনায় এসেছিল। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে।’
আটকের আগে গতকাল মঙ্গলবার জাহাঙ্গীর কবির প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘দলীয় সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।’
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালিব মৃধা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে বরগুনায় বিক্ষোভ হয়েছিল।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বরগুনা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা আওয়ামী লীগ। সেখানে জাহাঙ্গীর কবির অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন, তারা ঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করবে।