রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আজ রোববার সকালে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই কিশোর নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন একজনের লাশ উদ্ধার করেছেন। আরেকজনের লাশ উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন।
এ নিয়ে গত ১৪ দিনে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ডুবে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।
আজ গোদাগাড়ী ডুবে যাওয়া দুই কিশোর হচ্ছে উপজেলার সাগরপাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে ওসমান আলী (১৩) ও নাসির উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ ওরফে সইম (১৫)। তাঁরা দুজন আল ইসলাহ ইসলামি একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তাদের মধ্যে ওসমান আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে গোদাগাড়ী রেলবাজার খেয়াঘাটে আল ইসলাহ ইসলামি একাডেমির পাঁচ শিক্ষার্থী পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। ওই এলাকার বালু তোলার কারণে গর্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন গোসল করতে গিয়ে গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। বাকি তিনজনের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবু সামা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে চারজন ডুবুরি সেখান কাজ করছেন। তাঁরা নিখোঁজ কিশোরকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার ৫ নম্বর বাখরাবাজ মহল্লার মো. রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১২), নূর ইসলামের ছেলে নূরুজ্জামান (১৪) ও মো. লিটনের ছেলে আরিফ (১৪) পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা যায়। তারা সাত বন্ধু একসঙ্গে দুপুরের দিকে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমেছিল।
২১ এপ্রিল রাজশাহী নগরের সায়েরগাছা এলাকার বাবু হোসেনের ছেলে বাপ্পি হোসেন (১৬) ও একই এলাকার শাহিন হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২০)একইভাবে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা যান।
আর ২০ এপ্রিল রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীতে টিনের নৌকা ডুবে আসাদ হোসেন (১৮) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়। গত ১৯ এপ্রিল বাঘায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক শিশু এবং ১৪ এপ্রিল দুই শিশু ডুবে মারা যায়।