নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় তিনজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী খামারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ভাষ্য, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের বিজয় মিছিলে পরাজিত পক্ষ হামলা চালালে ওই তিনজন আহত হয়েছেন।
আহত তিনজন হলেন চর আড়ালিয়া ইউনিয়নের বটতলী খামারপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে মুক্তার হোসেন (৩৪), জহর আলীর ছেলে খোরশেদ মিয়া (৫০) ও মো. নজিবুল্লাহর ছেলে মো. জামান মিয়া (২৮)। আহত তিনজনকেই নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মো. হারুণ মোল্লা বিজয়ী হন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় হারুণ মোল্লা তাঁর শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে একটি বিজয় মিছিল বের করেন। ফুটবল প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মো. নোয়াব মিয়ার ২০-২৫ জন সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে সেই মিছিলে হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের তিনজন আহত হন।
স্থানীয় লোকজন আহত তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেন। এ সময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে আহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের নিয়ে ঢাকায় নেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বলেন, তিনজনই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. হারুণ মোল্লা ও পরাজিত প্রার্থী মো. নোয়াব মিয়ার মুঠোফোনে কয়েক দফায় ফোন করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন বলেন, বিজয়ী ইউপি সদস্যের বিজয় মিছিলে পরাজিত প্রার্থীর একদল কর্মী-সমর্থক হামলা চালালে সহিংসতার ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।