ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সিলেটে ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এতে সিলেট অঞ্চলে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
এর আগে ২৯ মে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। এতে সিলেট জেলার ছয় লাখের ওপর মানুষ বন্যাকবলিত হয়।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢল নামে। এতে সিলেটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। গত ২৪ ঘণ্টায় মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে সিলেটে। বিষয়টি শঙ্কার। আগামী আরও কয়েক দিন এমন বৃষ্টিপাত হলে আবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
সিলেটের পাউবো সূত্রে জানা যায়, সিলেটের সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। সেখানে আজ দুপুর ১২টায় পানি প্রবাহিত হয় ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার। দুপুর ১২টায় এখানে পানি প্রবাহিত হয় ৯ দশমিক ৯৭ মিটার উচ্চতায়। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এখানে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ মিটার। এখানে দুপুর ১২টায় পানি প্রবাহিত হয়েছে ১০ দশমিক ২৬ মিটার দিয়ে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলায় ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ঈদের সময় খাবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৪৭টি নৌকা উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ১৩টি উপজেলাতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা রয়েছে। ত্রাণসহায়তার জন্য বরাদ্দও আছে।