এক দিন পর কোরবানির ঈদ। ঈদের দিন পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র। এ ছাড়া ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ৪০ হাজার কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। পশু কোরবানির স্থানও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পৌরসভায়। বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, পৌরবাসীর সহযোগিতায় গত বছর কোরবানির ছয় ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ বছর কোরবানির বর্জ্য পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন বেলা একটা থেকে প্রায় দুই শতাধিক কর্মী ১২টি দলে ভাগ হয়ে মাঠে কাজ করবেন। সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারিত হবে। পৌর কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পাশাপাশি মেয়র নিজেও মাঠে থাকবেন বলে জানান তিনি। কর্মীদের মধ্যে যে দল যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। শুধু শহরের প্রধান সড়ক নয়, অলিগলি থেকেও বর্জ্য অপসারণ করে পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হবে।
পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌরসভার নির্ধারিত ১০৯টি স্থানে পশু জবাই করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মাইকিংও করা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য দুই হাজার ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে ১২টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলের জন্য একজন সুপারভাইজার ও একটি করে ট্রাক্টর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি ভ্রাম্যমাণ দল ও পানির গাড়ি নিয়োজিত থাকবে। স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা এসব দলের কাজ তদারকি করবেন।
কোরবানির বর্জ্য রাস্তা বা নর্দমায় না ফেলে নির্দিষ্ট ব্যাগে রাখার পরামর্শ দিয়ে মেয়র বলেন, ব্যাগগুলোয় কোরবানির বর্জ্য রেখে দিলে পৌরসভার সেবকেরা সেগুলো অপসারণ করবেন। বর্জ্য অপসারণের কাজ করার কারণে কর্মী ও সেবকেরা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাঁদের জন্য ঈদের পরদিন বিনোদন ও উন্নত মানের ভোজের ব্যবস্থা করা হবে। ঈদ উপলক্ষে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য দুটি গরু ও পাঁচটি ছাগল জবাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে চাল, লুঙ্গি ও ঈদ সেলামি দেওয়ার কথা জানান তিনি।