বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার। হাজার হাজার মানুষের খুনি। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী। বিশ্বের ইতিহাসে শেখ হাসিনাই প্রথম নারী স্বৈরাচার। তাঁর পতনটা হয়েছে অত্যন্ত নির্মমভাবে। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়া খুনি শেখ হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করতে হবে। ভারতের সঙ্গে বন্দিবিনিময় শর্তে হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ বুধবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুল বারী এ কথাগুলো বলেন।
আজিজুল বারী বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের যেভাবে পতন হয়েছিল, ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সেভাবে পতন হয়েছে। হিটলারের নাৎসি পার্টিকে যেভাবে জার্মানরা প্রত্যাখ্যান করেছিল, আওয়ামী লীগকে সেভাবে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের গ্রেপ্তার করতে হবে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে গণহত্যা, ইলিয়াস আলীসহ হাজারো মানুষকে গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগস্ট মাসে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি। অনেক ত্যাগ আর হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় নস্যাৎ করতে একটি মহল অপতৎপরতা শুরু করেছে। অপতৎপরতাকারীরা বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে ব্যস্ত। ১৭ বছরের বিদায়ী লুটেরা সরকারের অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা করছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান দৃঢ়। বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, লুটপাট ও দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। ১৭ বছরের লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজনই লুটপাট করছেন। যাঁরা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করছেন, তাঁরা পলাতক হাসিনার প্রেতাত্মা।
আজ বেলা ১১টা থেকে নগরের কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে মহানগর ও জেলা বিএনপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসানসহ থানা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি বায়তুন নুর জামে মসজিদের সামনে, খালিশপুর থানা বিএনপি বৈকালী চত্বরে, দৌলতপুর থানা বিএনপি শহীদ মিনার চত্বরে ও খানজাহান আলী থানা বিএনপি ফুলবাড়ি গেট বাসস্ট্যান্ডে কর্মসূচি পালন করে। একই দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ সব থানায় কর্মসূচি পালিত হবে।