কিশোরগঞ্জে নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখর সমাবেশস্থল। রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ চক্ষু হাসপাতাল–সংলগ্ন বালুর মাঠে
কিশোরগঞ্জে নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখর সমাবেশস্থল। রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ চক্ষু হাসপাতাল–সংলগ্ন বালুর মাঠে

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ শুরু

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহের বগারবাজার থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ কর্মসূচি কিশোরগঞ্জে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ চক্ষু হাসপাতাল-সংলগ্ন বালুর মাঠে এ সমাবেশ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল। কেন্দ্রীয় নেতাদের আসতে দেরি হওয়ায় শিল্পীরা গান গেয়ে নেতা–কর্মীদের মাতিয়ে রাখছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ ১১৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কিশোরগঞ্জে যাবে। রোডমার্চে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চুরখাই, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের চায়না মোড়, শম্ভুগঞ্জ, ঈশ্বরগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে সভা হওয়ার কথা ছিল।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম বিকেল চারটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ১১৪ কিলোমিটার রোডমার্চটি ময়মনসিংহ মহাসড়কের চায়না মোড়, শম্ভুগঞ্জ হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ এসে পৌঁছেছে। রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। রোডমার্চে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সব জেলার নেতা-কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

শরিফুল আলম আরও বলেন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে এ রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নেতা–কর্মীদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থল। রোডমার্চের নেতারা এখনো না এসে পৌঁছায় শিল্পীরা গান গেয়ে নেতা–কর্মীদের মাতিয়ে রাখছেন

রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ এমরান সালেহ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।

এদিকে বেলা তিনটা থেকে কিশোরগঞ্জে সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও বিকেল চারটার দিকে প্রখর রোদে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ ফাঁকা। নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাঠের পাশে আসছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মঞ্চ থেকে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে নেতা–কর্মীদের আগমনে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। রোডমার্চের নেতারা এখনো না এসে পৌঁছায় শিল্পীরা গান গেয়ে নেতা–কর্মীদের মাতিয়ে রাখছেন।

সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমানে রাজধানী ঢাকা ঘিরে সমাবেশ, পেশাজীবী সম্মেলন ও অঞ্চলভিত্তিক রোডমার্চ কর্মসূচি করছে বিএনপি। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ১৫ দিনের এ কর্মসূচি ৫ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।